মানুষের শরিরলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকা টা অত্তান্ত জরুরি। আমাদের শরিরে উচ্চ রক্তচাপ যেমন মারাত্মক ক্ষতির কারন তেমনি নিম্ন রক্তচাপ ও তেমনি মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই আজকে আমরা লো প্রেশার নিয়ে আলোচনা করব। লো প্রেশার এর লক্ষন এবং লো প্রেশার হলে আমাদের করনিও কি তাই নিয়ে আলোচনা করব।আশা করি পোষ্টটি সম্পূর্ণ পরবেন। পড়লে অনেক উপকার হবেন। প্রাথমিক ধারনা থাকবে আমাদের। তাহলে কার লো প্রেশার হলে অজাতা ভয় থেকে বাঁচা যাবে।
তাহলে চলুন দেরি না করে প্রেশার লো হয়ার কারন - প্রেশার লো হলে করনিও কি।
বিশ্বের সকল ডক্টর এটা প্রমান করেছে যে আমাদের শরিরে ৮০/১২০ এর আশে পাশে থাকে তাহলে একেবারে সঠিক রক্তচাপ আসে এবং সেই ব্যাক্তি সুস্থ আছে।৮০/১২০ আর থেকে যদি কম রক্তচাপ থাকে তাহলে তাকে লো প্রেশার বলে।তাহলে লক্ষন গুলো আগে জেনে নি।
প্রেশার লো হওয়ার লক্ষন।
স্বাভাবিক অবস্তার থেকে যদি রক্তচাপ কমে যায় তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।আমাদের ওসাবধানের কারনে। স্বাভাবিক অবস্তার থেকে যদি রক্তচাপ কমে যায় তাহলে যে লক্ষন গুলো দেখা দেয় সেগুল জেনি নি।
১।পিপাশা বেশি লাগে।
২।হাত পা ঠান্ডা হয় যায়।
৩।মাঝে মাঝে অন্ধকার দেখা।
৪।চোখ ঘোলা হয় যায়।
৫।মাথা ঝিম ঝিম করে।
৬।হার্ড বিট বেরে যায়।
৭।মাথা ঘোরান।
৮।শরির দুর্বল হয় যায়।
প্রেশার লো কেনো হয়?
আমারা সব সময় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতন থাকলেও আমাদের লো প্রেশার নিয়েও সচেতন থাকা উচিৎ ।কারন হাই প্রেশার এর মতো লো প্রেশার অনেক ক্ষতি করে থাকে। লো প্রেশার এড় জন্য মানবদেহের অনেক রকমের ক্ষতিসাধন হতে পারে,তাই আমাদের লো প্রেশার আর দিকেও সচেতন হতে হবে।
শরীরে পানি শূন্যতা।
গরমের সময় আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘামের জন্য পানি বের হয় থেকে।এর ফলে আমাদের শরীরে
পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।পানি শূন্যতা কারনে লো প্রেশার হতে পারে ।
আতিরিক্ত দুর্শ্চিন্তা।
প্রেশার লো হার অন্নতম কারন হলো আতিরিক্ত দুর্শ্চিন্তা।মানসিক দুর্শ্চিন্তা, কোন কিছুর ভয় এসব কারনে প্রেশার লো হয় থাকে।
ঘুমের অভাব।
আমাদের পরিমাণ মত যদি ঘুম না হয় তাহলে আমাদের শরির খারাপ হয় পরে। পরিমাণ মত ঘুম না হলে প্রেশের লো হওয়ার সম্ভবনা থাকে।তাই আমাদের প্রতিদিন অন্ত্যত ৭-৮ ঘন্টা নিয়মিত ঘুমানর অভ্যাস করা উচিৎ
।
প্রেশার লো হলে করনীয়
অনেকেরই রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবে একটু কমের দিকে থাকে। এতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয় না। এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।তবে রক্তচাপ বেশি কমে গিয়ে কারও সমস্যা হলে বা কোনো উপসর্গ দেখা দিলে, সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসা নিতে হবে।রক্তচাপ খুব বেশি কমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃৎপিণ্ড রক্তস্বল্পতায় ভুগতে পারে এবং তা থেকে এসব অঙ্গের নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।
১। খাবার স্যালাইনঃ প্রেশার লো হলে আবশ্যই খাবার স্যালাইন খাইতে হবে। এতে শরিরের পানি শূনতা কম্বে।
২।গ্লুকোজঃপ্রেশার লো হলে গ্লুকোজ খেলে ভাল ফলাফল দেয়।
৩।দুধ ও ডিমঃ আমারা সবাই জানি দুধ -ডিম পুষ্টিকর খাবার। প্রেশার লো হলে দুধ- ডিম খাওয়া উচিৎ।
আরও মধু,বাদাম,শাকসবজি,কিস মিস,খাবার খাওয়া উচিৎ। এবং নিয়মিত ব্যাম করা উচিৎ।
প্রতিরোধ
১।দীর্ঘ সময় এক স্থানে বসা বা শুয়ে থাকার পর ধীরে উঠতে হবে। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এটা অবশ্যই করা উচিত।
২। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। গরমের দিনে অতিরিক্ত ঘামে যাতে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩। ডায়রিয়া বা বমি হলে যাতে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় পরিমাণমতো খাবার স্যালাইন, তরল খাবার, ডাবের পানি পান এবং স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে।
৪। লম্বা সময় খালি পেটে থাকা উচিত নয়। দীর্ঘ কাজের ফাঁকে হালকা নাশতার অভ্যাস করা ভালো।
পরিচিতদের মাঝে শিয়ার করুন
0 মন্তব্যসমূহ