এই সময়ে অনেকের চোখ ওঠছে। এটি নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তিন থেকে ৭ দিনের মধ্যে চোখ এমনিতে ভালো হয়ে যায়। 

চোখের ভাইরাসে কিছু ড্রপ আছে ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যায়। আবার কোনো কোনো সময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

চোন উঠের লক্ষন ও  উপসর্গঃ

১.চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে জাওয়া।

২.চোখের পাতা ফুলে জাওয়া 

৩.চোখ দিয়ে পানি পড়া। 

৪.চোখ খক খক করা। 

৫.ঘুম থাকে উঠার পর চোখের পাতা এক হয়ে লেগে থাকা। 

 
যে ভাবে চোখের উপর জীবানু ছড়াইঃ

১. সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এটি হয়। অপরিষ্কার হাত, আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শে, আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, গামছা ব্যবহারে চোখ উঠতে পারে।

২. অ্যালার্জি ধুলাবালির মাধ্যমে।

চিকিৎসা

১.হালকা গরম কুসুম পানি দিয়ে  চোখ পরিষ্কার করতে হবে এবং চোখ খোলা রাখতে হবে।

২.চোখে কালো চশমা পরতে হবে।

৩.পযাপ্ত বিশ্রাম ও ভিটামিন খাবার খেতে হিবে। 



কখন চিকিৎসকে কাছে জাবেনঃ

১ যখন আপনার চোখ থেকে ঘন হলুদ কিংবা সবুজাভ হলুদ রঙের ময়লা পদার্থ বের হয়।

২. চোখ ব্যথা থাকলে।

৩. চোখে ঝাপসা দেখতে পেলে  অথবা দেখতে সমস্যা হলে।

৪. চোখের  সাদা অংশ ফুলে উঠলে কিংবা লাল হয়ে গেলে।

যা করবেন নাঃ

১.চিকিৎসকের পরামর্শ ছড়া চোখে ড্রপ বা ওষুধ ব্যাবহার করবেন না। 

২. কালারিং চশমা ছাড়া বাইরে বের হবেন না। 

প্রতিকারঃ

১. চোখ ওঠা খুবই ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবাই কাপড়, তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিস আলাদা ব্যবহার করুন।

২. চোখে হাত দিবেন না।

৩. ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ভালোমত পরিষ্কার করুন।

৪. যেসব জিনিসে অ্যালার্জিক তা থেকে  দূরে থাকুন।

৫. সাথে জ্বর সর্দি কাশি থাকলে তার চিকিৎসা নিন।

৬. আক্রান্ত হলে ঘরে বিশ্রাম নিন।রোগক্রান্ত অবস্থায় বাইরে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। হাত সবসময় পরিষ্কার রাখুন। আপনার ব্যবহৃত রুমাল/ টিস্যু যেখানে সেখানে ফেলা থেকে বিরত রাখুন